বইটি অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেল জাকারিয়া কামালের ইংরেজি ভাষায় রচিত বৈজ্ঞানিক তাফসীর দ্বারা অনুপ্রাণিত।
অনুবাদক মোহাম্মদ নসরত হোসেন একজন প্রকৌশলী ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তাঁর অনুবাদ সাবলীল ও সুখপাঠ্য।
মূল আরবি - সবুজ, ইংরেজি আয়াত ও ব্যাখ্যা - নীল, বাংলা আয়াত ও ব্যাখ্যা - কালো রঙে ছাপা হয়েছে।
ঝকঝকে অফসেট কাগজে মুদ্রণ, হার্ড কভার, জ্যাকেটসহ ডাবল কভার, এ-৪ সাইজ।
বিজ্ঞান না জানলেও সাধারণ পাঠক বিজ্ঞান ও কোরআনের মধ্যে সম্পর্ক সহজে বুঝতে পারবেন।
আল কুরআনের বিজ্ঞানভিত্তিক আয়াতসমূহের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপিত।
আল্লাহর পরিচয়, মহাবিশ্ব, সাত আকাশ, সৃষ্টি চক্র, জান্নাত-জাহান্নাম, সুপার স্পেস, রুহ, নফস, সিদরাতুল মুনতাহা, বলক্ষেত্র, ডার্ক এনার্জি, কোয়ান্টাম ফিল্ডস, আইন দিবসসহ বহু জ্ঞাত-অজ্ঞাত বৈজ্ঞানিক বিষয়ে আলোচনা।
বিজ্ঞান না জানলেও সাধারণ পাঠক বিজ্ঞান ও কোরআনের মধ্যে সম্পর্ক সহজে বুঝতে পারবেন।
মূল ইংরেজি তাফসীরটি ৩৭ বছরের দীর্ঘ গবেষণার ফসল।
বিশেষ করে বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য বইটি অত্যন্ত উপযোগী ও আকর্ষণীয়।
হুদাল্লিল মুত্তাকিন, হুদাল্লিন নাস ও হুদাল্লিল মুহসিনীন: মুত্তাকিন বা রক্ষীবাহিনী, আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী গ্রন্থ আল কোরআন, নতুন উম্মাহ গঠনের কারণসমূহ, একটি নতুন উম্মাহর সৃষ্টি, নতুন উম্মাহর আইন ও আচার-অনুষ্ঠান এবং সাহাবীদের সম্মান ও আখেরী মুনাজাত আলোচনা হয়েছে।
সূরার শুরুতে কুরআনের প্রতীক এবং মুত্তাকিনদের গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এরপর অবিশ্বাসী ও মুনাফিকদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। মুনাফিকদের বিভিন্ন লক্ষণ ও অবস্থানের বিশ্লেষণ রয়েছে।
আসমানী কিতাব হিসেবে কুরআনের প্রমাণসমূহ এবং জান্নাতের বাস্তবতা, কুরআনে উপমা ব্যবহারের নীতিমালা এবং মহাবিশ্বের গঠন, সাত আসমান ও ডার্ক ম্যাটারসহ মহাবিশ্বের বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আদম (আ.) এর সৃষ্টি, জ্ঞানার্জনের গুণ, তার প্রতিনিধি হিসেবে সম্মান এবং দিকনির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা আলোচিত হয়েছে।
ইসরাইল বংশধরদের নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অনুসরণ করার আহ্বান এবং তাদের অতীত সীমালঙ্ঘন, আখিরাতে অবস্থান ও ধর্মীয় দুর্বলতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আয়াতের ব্যাখ্যায় আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্য ও আবিষ্কারের সাহায্যে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা হয়, যেমন: মহাবিশ্ব, জীবনের সূচনা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, চিকিৎসা ইত্যাদি।
কোরআনের বিমূর্ত ধারণাগুলোকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাস্তব এবং সহজবোধ্য করে তুলে ধরা হয়, যেমন: সাত আসমান, মানুষের সৃষ্টি, বায়ুমণ্ডলীয় স্তর ইত্যাদি।
একটি আয়াতকে কেবল ভাষাগত নয়, বরং ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হয় — যার ফলে গভীর ও বহুমাত্রিক অর্থ উন্মোচিত হয়।
কোরআনের আয়াতসমূহকে আধুনিক যুগের আবিষ্কারের সাথে মিলিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়— যেমন ডার্ক ম্যাটার, গ্রিনহাউস ইফেক্ট, ম্যাগনেটোস্ফিয়ার, বিগ ব্যাং ইত্যাদি।
এটি শুধু ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য নয়, বরং বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্যও একটি দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। বিশ্বাস আর যুক্তির মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করে।
বিজ্ঞানের আলোকে কোরআনের বিষয়বস্তুকে বুঝতে পারলে একজন পাঠকের ঈমান আরও মজবুত হয়, কারণ তারা বুঝতে পারে — ঈমান অন্ধ বিশ্বাস নয়, বরং জ্ঞানভিত্তিক আস্থা।
তাফসিরে একইসাথে ধর্ম, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভাষাবিদ্যার সমন্বয় আছে — যা পাঠককে বহুমাত্রিক বোধ ও জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়।
বিজ্ঞান যেহেতু প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য দেয়, তাই বৈজ্ঞানিক এই তাফসির একটি পরিবর্তনশীল ও যুগোপযোগী ব্যাখ্যা পদ্ধতি হিসেবে কাজ করেছে।
এটি ঈমানকে যুক্তির আলোয় ব্যাখ্যা করে — ফলে তরুণ, শিক্ষিত ও বিজ্ঞানমনস্ক পাঠকের জন্য কুরআনের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা ও আগ্রহ তৈরি হয়।
যেসব আয়াত আগে বোঝা কঠিন ছিল বা ব্যাখ্যাহীন ছিল, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে — যেমন: “আকাশকে ছাউনি বানানো হয়েছে”, “আকাশের দরজা”, “আকাশমণ্ডলী” ইত্যাদি।
কুরআনের আয়াতে সময়ের প্রসারণ, মহাবিশ্বের প্রসারণ ইত্যাদি ধারণা রয়েছে, যা কসমোলজির সাথে মিলে যায়।
অনেক আয়াত এমন কিছু বিষয়ের ইঙ্গিত দেয়, যা আজও বিজ্ঞানের হাতে অজানা; ভবিষ্যতের গবেষণায় সেগুলো উদ্ঘাটিত হতে পারে।
৩৭ বছরের গভীর গবেষণায় অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেল জাকারিয়া কামালের ইংরেজি তাফসীরের অনুপ্রেরণায় মোহাম্মদ নুসরত হোসেনের সংকলিত বাংলা “আল কোরআনের বৈজ্ঞানিক তাফসীর” এখন সহজ বাংলায়। এই তাফসীরে আধুনিক বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের অনেক জটিল ও ব্যাখ্যাহীন আয়াত আজ হয়ে উঠেছে পরিষ্কার ও হৃদয়গ্রাহী।